তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি ইবির প্রগতিশীল শিক্ষকদের

তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি ইবির প্রগতিশীল শিক্ষকদের

তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি ইবির প্রগতিশীল শিক্ষকদের

তিন দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষকদের একটি অংশ। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অপসারণ, অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে পুনঃনিয়োগ পাওয়া আরিফুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল ও মেগাপ্রকল্পের কাজ ড্রয়িং ও ডিজাইন অনুযায়ী করা।

গত সোমবার শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করে ৫৩ শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি হস্তান্তরকালে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার এবং ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে ওই শিক্ষকরা দাবি করেন, ২০১৭ সালে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়া আরিফুল ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিএনপি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় সেই সময় নিয়োগ হওয়ার পরও তা স্থগিত করে তৎকালীন প্রশাসন। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন তার নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। তারা ওই শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের দাবি করেন।

একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তাদের অপসারণ দাবি করেন। এ ছাড়াও চলমান মেগাপ্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন কাজগুলোর যথাযথ তদারকি, ডিজাইন ও ড্রয়িং অনুযায়ী কাজগুলো সম্পন্ন করার দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে আমরা ভিসি স্যারের সাথে বসেছিলাম। আমরা তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে উল্লেখিত দাবিগুলো নিয়েও কথা হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘পূর্বের ভিসি সিন্ডিকেটে আরিফের নিয়োগ বাতিল করেনি, স্থগিত করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক, এটর্নি জেনারেলসহ তিনজন আইনজীবির মতামত নিয়েছি। তারা বলেছে এমন কোন উপাদান পাওয়া যায়নি যা দিয়ে নিয়োগটি বাতিল করা যায়। সম্প্রতি পুলিশ ভেরিফিকেশনও নেওয়া হয়েছে। তার আসনের সংসদ সদস্য আরিফকে আওয়ামীলীগ সার্টিফাই করেছেন। এ ছাড়া কর্মকর্তারা বিভিন্ন পদে নিয়ম অনুযায়ী এসেছে।’