ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির পর লুণ্ঠনের খবর

ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির পর লুণ্ঠনের খবর

ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির পর লুণ্ঠনের খবর

প্রত্যক্ষদর্শী ও ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছে , ইথিওপিয়ার ফেডারেল সামরিক বাহিনীর মিত্ররা টিগ্রায়ে সম্পত্তি লুণ্ঠন এবং ব্যাপক ধরপাকড় করছে।যুদ্ধরত দলগুলো একটি যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করার তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে, কথিত নৃশংসতা সম্পর্কে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। যদিও কূটনীতিক এবং অন্যান্যরা আশা করেছিলেন যে, ৫০ লাখেরও বেশি লোকের আবাসস্থল এই অঞ্চলে দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।

টিগ্রায় এখনও ইথিওপিয়ার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ নভেম্বর স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে এই অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ পুনরায় শুরু হয়েছিল। ইথিওপিয়ার বাহিনী এখন এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে। মানবাধিকার গবেষকদের জন্য এই অঞ্চলে কোনো প্রবেশাধিকার নেই বা সীমিত। যার ফলে সাংবাদিক এবং অন্যদের পক্ষে টিগ্রায়ের তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

একজন ত্রাণকর্মী জানান, শহরের চারপাশে বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ইথিওপিয়ার ফেডারেল সৈন্যরা টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফের সাথে যুক্ত সন্দেহে লোকদের গ্রেফতার করছে। টিপিএলএফের নেতারা ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

টিগ্রায়ে ইরিত্রিয়ান সৈন্যদের অব্যাহত উপস্থিতি চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার একটি বেদনাদায়ক বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে । যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চল থেকে তাদের প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।

ইথিওপিয়ায় সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এবং সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেননি। ইথিওপিয়ায় অবস্থিত ইরিত্রিয়ার দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সোমবার এক ফোনালাপে সমস্ত বিদেশী বাহিনী প্রত্যাহার এবং টিগ্রায় বাহিনীর একই সময় নিরস্ত্রীকরণসহ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা