তিন দেশের মহড়ায় নতুন হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করবে রাশিয়া

তিন দেশের মহড়ায় নতুন হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করবে রাশিয়া

তিন দেশের মহড়ায় নতুন হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করবে রাশিয়া

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে চীনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ট তিনটি দেশ রাশিয়া, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত মহাসাগরের উপকূলে নৌ মহড়া শুরু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে।গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীতে মোসি-২ নামে ১০ দিনের একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হবে৷

রাশিয়ান একটি ফ্রিগেটের অ্যাডমিরাল গোর্শকভ চলতি সপ্তাহের শুরুতে কেপটাউনে পৌঁছেছে। যার পাশে জেড এবং ভি অক্ষর রয়েছে। এই  অক্ষর দিয়ে মূলত ইউক্রেনের সামনের সারিতে রাশিয়ান অস্ত্র চিহ্নিত করে এবং রাশিয়ায় দেশপ্রেমের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।কেপ টাউনের বন্দরে রাশিয়ান ফ্রিগেট যাত্রাকালে ইউক্রেনের পতাকা উড়িয়ে একটি ছোট বাহনে প্রতিবাদ জানায়। সামরিক মহড়ার বিরোধিতাকারী দক্ষিণ আফ্রিকানরা শুক্রবার কেপটাউনের রাশিয়ান কনস্যুলেটের সামনে মহড়া বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

অ্যাডমিরাল গোর্শকভের আগমন যথেষ্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কারণ এটি অত্যাধুনিক জিরকন হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। রাশিয়া বলছে এটি এমন একটি অস্ত্র যা যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সমুদ্রে এবং স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, যৌথ নৌ মহড়ার সময় যুদ্ধজাহাজটি একটি জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে। আন্তর্জাতিক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম উৎক্ষেপণ হবে এই পরীক্ষা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাডমিরাল গোর্শকভ ছাড়াও, সামুদ্রিক মহড়ায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য জাহাজগুলোর মধ্যে একটি রাশিয়ান তেল ট্যাঙ্কার, একটি দক্ষিণ আফ্রিকান ফ্রিগেট এবং তিনটি চীনা জাহাজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে - একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট এবং একটি সাপোর্ট বাহন।

যৌথ নৌ মহড়াটিও আসে যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই যৌথ নৌ মহড়াটি শুরু হচ্ছে। চীনের বেলুনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যাত্রা করে এবং অবশেষে মার্কিনিরা গুলি করে ফেলায়।দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের ডারবান এবং রিচার্ডস বে বন্দর থেকে সামুদ্রিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।মহড়ার গণমাধ্যমের কভারেজ সীমিত করা হয়েছে।

মহড়ায় অংশ নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমালোচনার মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিরোধী গণতান্ত্রিক জোট বলেছে যে এটি দেখায় যে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা নিরপেক্ষ নয়।দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নৌ মহড়াকে ‘একটি বহুজাতিক সামুদ্রিক মহড়া’ বলে বর্ণনা করেছে।

সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অপারেশনাল দক্ষতা এবং জ্ঞান ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে নৌ মহড়া ‘দ. আফ্রিকা, রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে ইতোমধ্যে বিকাশমান সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।’সরকার জানিয়েছে ,দক্ষিণ আফ্রিকার নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সামরিক শাখার অন্তত ৩৫০ জন সদস্য মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।এর আগে ২০১৯ সালে তিনটি দেশ কেপটাউনে মোসি-১ নৌ মহড়া করেছিল।

সূত্র  : ইউএনবি