মঈনের ঘূর্ণিতে চেন্নাইয়ের জয়

মঈনের ঘূর্ণিতে চেন্নাইয়ের জয়

মঈন আলী

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও মঈন আলীর ঘূর্ণিতে ঘরের মাঠে আসরের প্রথম জয় পেল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস ২১৭ রান সংগ্রহ করে। তবে মনে হচ্ছিল চলতি আসরে সর্বোচ্চ রানের এই টার্গেটও লক্ষ্ণৌর সামনে যথেষ্ট হবে না।

উদ্বোধনী ম্যাচে হারের পর সোমবার (৩ এপ্রিল) নিজেদের মাঠে লোকেশ রাহুলের দলকে আতিথ্য দেয় চেন্নাই। টস জিতে লক্ষ্ণৌ এদিন প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয়।

ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং থেকেই উড়ন্ত সূচনা করেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দুই ব্যাটার ৫৬ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন। ৩১ বলে ৫৭ রানে আউট হন রুতুরাজ। এ নিয়ে পরপর দুই ম্যাচেই ফিফটি পেলেন এই ভারতীয় ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে কনওয়ে করেন ২৯ বলে ৪৭ রান।

দারুণ শুরু পাওয়ায় পরবর্তী ব্যাটাররা বেশ কনফিডেন্টের সঙ্গে খেলতে থাকেন। দ্রুত উইকেটের পতন হলেও স্ট্রাইক করে খেলতে থাকেন তারা। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া শিভাম দুবে ১৬ বলে ২৭, মঈন আলীর ১৩ বলে ১৯, আম্বাতি রাইডু করেন ১৪ বলে ২৭ রান। শেষদিকে অধিনায়ক ধোনির ৩ বলে দু'টি ছ্ক্কায় বড় সংগ্রহ পায় চেন্নাই। এই ম্যাচ দিয়ে আইপিএলে ৫ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান ধোনি।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে প্রথম উইকেটে লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক রাহুলের সঙ্গে মারকুটে ব্যাটার কাইল মায়ার্স ৭৯ রানের জুটি গড়েন। পাওয়ার-প্লেতেই ৮০ রানের বেশি সংগ্রহ করে তাদের বড় রানের টার্গেট সহজ হয়ে ওঠে। কিন্তু পরবর্তী ৪ রানের ভেতর তিন উইকেটের পতনে ব্যাকফুটে চলে যায় লক্ষ্ণৌ। দুই ওপেনারকেই ফেরান মঈন আলী। 

পরবর্তীতে সেখান থেকে সফরকারীদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন নিকোলাস পুরান ও আয়ুশ বাদোনি। ১৮ বলে ৩২ রান করে পুরান আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন বাদোনি। ১৬তম ওভারে পুরান যখন আউট হলেন তখনও ২৪ বলে ৬২ রান দরকার ছিল লক্ষ্ণৌর। বাদোনি ও গৌতম মিলে ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিলেও কাজের কাজটা করতে পারেননি। শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে চেন্নাইকে জিতিয়েছেন বোলাররা।