বিদেশ সফরে মোদির সফরসঙ্গী এই নারীকে সাথে নেয়ার কারণ

বিদেশ সফরে মোদির সফরসঙ্গী এই নারীকে সাথে নেয়ার কারণ

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরের খুঁটিনাটির দিকে চোখ থাকে অনেকেরই। এসব সফরে মোদির সাথে যারা থাকেন, স্বাভাবিকভাবেই নজর থাকে তাদের দিকেও। দেখা গেছে, মোদির সব বিদেশ সফরেই তার সাথে থাকেন এক নারী। বিশেষ করে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলোতে এই নারী সবসময়েই হাজির থাকেন। কিন্তু কে ইনি? মোদির বিদেশ সফরে তার উপস্থিতি এমন অপরিহার্যই বা কেন?

ইনি গুরদীপ কওর চাওলা। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও, বর্তমানে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই। একজন সফল দোভাষী এই নারী। কিন্তু শুধু এটুকুই তার পরিচয় নয়। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট করেছেন তিনি। ভারতের পার্লামেন্টর পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই নারী।

মাত্র ২১ বছর বয়সেই দোভাষী হিসেবে পার্লামেন্টে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। অনুবাদ এবং ভাষান্তরের কাজে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আর এই অভিজ্ঞ নারীকেই নিজের বক্তব্য অনুবাদের ক্ষেত্রে ভরসা করেন মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমানের জো বাইডেন, সবার সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময়েই তাকে দেখা গিয়েছে।

শুধু দেশেরই নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কূটনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরগুলো। কিছুদিন আগেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর বিশ্লেষণ করেছিলেন যে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিদেশ সফর কোথায় কোথায় আলাদা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক মার্কিন সফরে একইসাথে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা এবং মার্কিন ব্যবসায়ীদের সাথেও বৈঠক, দুই-ই সেরেছেন মোদি। তার সফরের পরেই ভারতে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু কথা হলো, এই সফরগুলোতে মোদি একা থাকেন না। তার সাথে থাকেন আরো কিছু কর্মকর্তা এবং কর্মীরা, যারা এসব কূটনৈতিক সাক্ষাৎকার এবং আলাপ আলোচনায় কিছু না কিছু ভূমিকা পালন করেই থাকেন। তাদেরই অন্যতম গুরদীপ, যিনি মোদির বক্তব্য হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে থাকেন।

একা মোদিই নন, এই বিষয়টিতে তাকে ভরসা করে থাকেন একাধিক রাষ্ট্রনেতাই। ২০১০ সালে বারাক ওবামার প্রথম ভারত সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন গুরদীপ। ২০১৫ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে ওবামার বক্তব্যও অনুবাদ করেছিলেন তিনিই। ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কূটনৈতিক মহলে তাই বড় গুরুত্ব রয়েছে গুরদীপ কওর চাওলার।