বেনাপোল ইমিগ্রেশন পার হতে কোভিড সনদ লাগছে না

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পার হতে কোভিড সনদ লাগছে না

ছবিঃ সংগৃহীত।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াতে পাসপোর্টধারীদের বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেয়া শিথিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাই পাসপোর্ট আর ভিসা হলেই যাওয়া যাচ্ছে ভারতে। এতে ভোগান্তি কমেছে যাত্রীদের।

দেশে এবং বিশ্বের বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সবকিছু বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমান বন্দর ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেই চিঠিটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ছাড়াই পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করছে।

জানা যায়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নানা শর্ত ও বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ব্যবসা, চিকিৎসা ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বিদেশ থেকে ফিরে ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন মানতে হতো। এ ছাড়া বিদেশ যেতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ গ্রহণে একদিকে ভোগান্তি অন্য দিকে অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে যাত্রীদের। একটি চক্র ভ্যাকসিনের সনদ নিয়েও করেছে বাণিজ্য ।

বর্তমানে দেশ-বিদেশ সবখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমে আসায় সব দিক বিবেচনা করে সকল শর্ত শিথিল করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকেন। যাদের ৫০ শতাংশ চিকিৎসা, ৩৫ শতাংশ দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, ৫ শতাংশ ব্যবসা ও ১০ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ভারতে যায়। কোভিড-১৯ এর সব শর্ত তুলে নেয়ায় ভোগান্তি ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারছে মানুষ।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লক্ষিন্দার কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি তারা হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখন থেকে কোভিড-১৯ এর সব শর্ত শিথিল করা হয়েছে। টিকা সনদ বা কোভিড-১৯ এর কোনো কাগজ ভারত ভ্রমণ বা ফেরার সময় লাগবে না। এই সংক্রান্ত নির্দেশনা চেকপোস্ট ও ইমিগ্রেশনে বিজ্ঞপ্তি আকারে টানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নামে কারও সাথে অর্থ লেনদেন না করারও কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।