গ্লোবাল লিগের শিরোপা জিতল সাকিবের মন্ট্রিয়াল

গ্লোবাল লিগের শিরোপা জিতল সাকিবের মন্ট্রিয়াল

সংগৃহীত

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে চ্যাম্পিয়ন সাকিব আল হাসানের মন্ট্রিয়াল টাইগার্স। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে লিটন দাসের সারে জাগুয়ার্সকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। যদিও দলের সাথে ছিলেন না সাকিব, এলপিএল খেলতে তিনি তখন অবস্থান করছেন শ্রীলঙ্কায়।

১৩০ রানের সহজ লক্ষ্য, তবুও জয়টা সহজে আসেনি মন্ট্রিয়ালের। একদম শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ ওভারে আসে ১৭ রান। সব মিলিয়ে শেষ ৪ ওভারে ৫৬ রান নিতে হয়েছে মন্ট্রিয়ালকে। অর্থাৎ শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না দলটির।

সাকিব না থাকলেও ফাইনালে ছিলেন লিটন দাস। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন এই ব্যাটার। ১৩ বলে ১২ রানে আউট হন তিনি। সব মিলিয়ে ৭ ইনিংসে ১৫২ রান নিয়ে আসর শেষ করলেন তিনি। গড় ২১.৭১ আর স্ট্রাইকরেট ১০০.৬৬। যার মাঝে ১ ইনিংসেই করেন ৫৯!

লিটন দাসের মতো ব্যর্থ ছিল তার দলের বাকিরাও। ব্রাম্পটনের সিএএ সেন্টারে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩০ রান তোলে সারে জাগুয়ার্স। ৫৭ বল খেলে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার জিতেন্দর সিং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ান খানের ১৫ বলে ২৬ রান। ২৩ রান আসে হারিসের ব্যাটে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ০ রানেই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিসের উইকেট হারালেও ক্রিস লিনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার্সরা। তবে রানের গতি ছিল নিম্নমুখী, ১২ ওভারে মাত্র ৬২ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। লিনের ৩২ বলে ৩১ শুধু বলার মতো স্কোর। ১৬ ওভার শেষে আসে ৪ উইকেটে ৭৯ রান।

শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। ১৬ ও ১৭তম ওভারে ২৭ রান তুলে লক্ষ্যটা খানিক সহজ করে তুলেন রাদারফোর্ড। এই সময় কৌশলগত পরিবর্তন আনে টাইগার্স ম্যানেজমেন্ট। আইরেকে তুলে নিয়ে নামানো হয় রাসেলকে। বদলি নামা রাসেল রাদারফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

রাসেল ৬ বলে ২০ এবং রাদারফোর্ড অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩৮ রানে। ম্যাচ সেরার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতেন তিনি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও রাদারফোর্ড। ৭ ইনিংসে ৪৪ গড়ে ২২০ রান করেছেন তিনি।