রোগীর শরীরে ভুল রক্ত প্রবেশ, হাসপাতালের ল্যাব-ইউনিট সিলগালা

রোগীর শরীরে ভুল রক্ত প্রবেশ, হাসপাতালের ল্যাব-ইউনিট সিলগালা

সংগৃহিত ছবি।

নোয়াখালীর মাইজদীতে খাদিজা বেগম (৫২) নামে এক রোগীর শরীরে ভুল রক্ত প্রবেশ করানোর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত জনতা জেনারেল হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও কেবিন ইউনিট সিলগালা করে দিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।

খাদিজা বেগম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাহার উদ্দিনের স্ত্রী। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি ডোনার সংগ্রহ করে রক্ত দিতে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

জানা গেছে, খাদিজা বেগমের ‘ও’ পজিটিভ রক্ত ডোনারের কাছ থেকে সংগ্রহ করলেও হাসপাতালে নার্স তার শরীরে ‘বি’ পজিটিভ’ রক্ত প্রবেশ করান। কিছুক্ষণ পর রোগীর স্বজনরা বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে এবং রক্ত দেওয়া বন্ধ রাখে।

 

খাদিজা বেগমের মেয়ের জামাই আশরাফ হোসেন টিটু বলেন, আমার শাশুড়িকে ‘ও’ পজিটিভ রক্ত দেওয়ার কথা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘বি’ পজিটিভ রক্ত প্রবেশ করায়। বিষয়টি আমরা টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে রক্ত দেওয়া বন্ধ করা হয়। এ নিয়ে আমরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ভুল রক্ত দেওয়ায় ধীরে ধীরে রোগীর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তার কিডনিসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে প্রদাহ শুরু হয়েছে। আমরা হাসপাতাল নামের এ ধরনের দায়িত্বহীন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যেন অন্য কোনো নিরীহ রোগীকে তারা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে না পারে।

 

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক ভুল রক্ত প্রবেশের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, একসঙ্গে দুই রোগীর রক্ত থাকায় নার্স ভুল করে অন্য রোগীর রক্ত এনে প্রবেশ করায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরে তা খুলে ফেলা হয়।

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে ওই হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। সত্যতা পেয়ে তাদের ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও রোগী ভর্তির কেবিন ইউনিট সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।