১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ

১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ

১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ

সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এমএ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর এই জোট। শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা জোটের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জোটের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি ও ৫ দফা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসে রাজপথনির্ভর কর্মসূচি দেওয়া হবে। 

জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে- ১. ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি; ২। নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ ; ৩। বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ;  ৪। বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট; ৫। বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি; ৬। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ; ৭।

বাংলাদেশ জনমত পার্টি; ৮। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বি এন জে পি); ৯। ইসলামী লিবারেল পার্টি; ১০। জনতার কথা বলে; ১১। বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি; ১২। বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি; ১৩। সাধারণ ঐক্য আন্দোলন; ১৪। বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও ১৫। বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম। 

এমএ আউয়ালকে চেয়ারম্যান করে জোটের কো-চেয়ারম্যানগণ হলেন- আলহাজ্ব হা: মাও হারিছুল হক, সৈয়দ সামসুল আলম হাসু, মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল, প্রফেসর কাজী মহিউদ্দিন সৌরভ, খন্দকার এনামুল নাছির, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি, মো. নাঈম হাসান, ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল, মো. আখতার হোসেন, হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম। 

প্রগতিশীল ইসলামী জোটের ১০ দফা দাবিগুলো হলো
১.  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ আগামী দিনের সকল নির্বাচনে দেশের মালিক জনগণ যেন নির্বিঘ্নে নিজেদের পছন্দ মতো সরকার গঠন করতে পারে সেজন্য অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও জনগণের অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং সরকারের প্রভাবমুক্ত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন জরুরি। 
২. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
৩.  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী সকল অপচেষ্টা কঠোর ভাবে দমন করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
৪.   হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটকারীর অবৈধভাবে বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এবং এসব অবৈধ কর্মকান্ডে তাদের সহযোগিতা কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে হবে এবং পাচারকৃত এসব অর্থ দেশে ফেরত আনতে হবে।
৫.  অবিলম্বে খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে তা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। 
৬. স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। 
৭.  স্বাধীন বিচার বিভাগ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।  
৮.  বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি বন্ধ করে মূল্য মানুষের সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। 
৯.  দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি দমন আইন সংস্কারের পাশাপাশি পদ্ধতিগত  সংস্কারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. সার, বীজসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণের মূল্য কমিয়ে কৃষক যাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে সে ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে এবং কৃষকের উৎপন্ন খাদ্য সামগ্রীসহ সকল কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য যাতে কৃষক পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।