গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন পুতিন

গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও অবস্থানকেও দায়ী করেছেন তিনি।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন নিয়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস-এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতেই ভাষণ দেওয়ার সময় পুতিন এসব কথা বলেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ব্রিকস-এর এই বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে মস্কো থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এসময় তিনি হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িঘর থেকে ব্যাপকভাবে বিতাড়নসহ গাজা উপত্যকায় যে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মস্কো থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যোগ দিয়ে সম্মেলনে বক্তৃতাকালে পুতিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে তা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ‘একচেটিয়া মধ্যস্থতা কার্যক্রমে’ মার্কিন অবস্থানের ‘প্রত্যক্ষ পরিণতি’।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে দুটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে নস্যাৎ করার কারণে ফিলিস্তিনিরা অবিচারের শিকার হচ্ছে এবং ইসরায়েল পুরোপুরি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না।’

পুতিন আরও বলেছেন, ‘উত্তেজনা নিরসন, যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার জন্য উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। এই কাজে ব্রিকস জোটভুক্ত দেশ ও অঞ্চলটির দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

তবে এমন উদ্যোগ কীভাবে নেওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ব্রিকস জোটের দেশগুলো হচ্ছে- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি বছরের আগস্টে নতুন ছয়টি দেশকে এই জোটের সদস্য করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, ইরান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), আর্জেন্টিনা ও ইথিওপিয়া।