সীমান্তে অস্ত্রসহ আটক ২৪, গুলিবিদ্ধ ৫ বাংলাদেশী

সীমান্তে উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে উখিয়ার পালংখালী সাতটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে পাঁচ বাংলাদেশী আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ও থাইংখালী এলাকায় চারজন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দু'জন নিহত হয়েছেন। নিহত দু'জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশী নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের আহতরা হলেন পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকার আয়ুবুল ইসলাম, রহমতেরবিল এলাকার আনোয়ার হোসেন, পুটিবনিয়া এলাকার মোবারক হোসেন ও মো: কালা।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও মোবারকের অবস্থা গুরুতর। এখনো গুলিবর্ষণের শব্দ শুনা যাচ্ছে।

সবশেষ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে উখিয়া, টেকনাফ এবং তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বিজিপি সদস্যসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর ১৪৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সবমিলিয়ে তিনদিনে বিজিপির ২৬৪ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে।

এর আগে সকালে পালংখালীর বটতলী সীমান্ত দিয়ে ৩৭ জন বিজিপি সদস্যসহ অনেকে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল, নলবনিয়া, পুটিবনিয়া, ধামনখালীসহ আরো কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে কয়েক দফায় বিজিপির সদস্যরা প্রবেশ করেন। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ সময় আরসা, আরএসওসহ কয়েকটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সদস্যরাও অনুপ্রবেশ করেছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, অনুপ্রবেশকারী যাদের আটক করা হয়েছে অস্ত্রসহ তাদের বিজিবির হেফাজতে নেয়া হবে। তারপর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা পুলিশসহ এপিবিএন সতর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে যে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।