দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ

দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ

ফাইল ছবি।

টানা ১২তম বুন্দেসলিগা শিরোপা জয় যে আর এবার করা হচ্ছে না, এটা জেনে গেছে বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থকরা। কারণ, শীর্ষে থাকা বায়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে ৮ পয়েন্টের ব্যবধান বায়ার্ন মিউনিখের। সর্বশেষ টানা তিনটি ম্যাচে হেরেছে ভাভারিয়ানরা। দুটি বুন্দেসলিগায় লেভারকুসেন এবং বোকামের কাছে। একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ল্যাজিওর কাছে।

২০১৫ সালের পর এভাবে টানা তিনটি ম্যাচ হারেনি বায়ার্ন। সেবার যদিও, যখন তারা টানা তিনটি ম্যাচ হেরেছিলো, তার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো লিগ শিরোপা। এবার তো, এই পরাজয়ের কারণে শিরোপা থেকে জোযন জোযন ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে তারা।

ক্লাবের এই যখন পরিস্থিতি, তখন কোচ টমাস টুখেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। তাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে বরখাস্ত করা হয় কি না, তা নিয়েও জ্বল্পনা-কল্পনা ছিল। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে টুখেলের ওপর আস্থা রাখার কথাই বলা হচ্ছিলো। তবুও, ভেতরে ভেতরে যে কিছু একটা চলছিলো, তা অনুমান করাই যায়।

অবশেষে আসল কথাটা জানিয়ে দিলো বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। টমাস টুখেল চলতি মৌসুম শেষেই বায়ার্ন মিউনিখের কোচ থেকে পদত্যাগ করবেন। অর্থ্যাৎ, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোচের সম্মানজনক বিদায়ের রাস্তা তৈরি করে দিলো বায়ার্ন।

ক্লাবের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে, সেখানে টুখেল বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে, চলতি মৌসুম শেষেই আমরা আমাদের কাজের সম্পর্কটা শেষ করে দেবো। সে পর্যন্ত আপাতত আমি আমার পূর্ণ কোচিং প্যানেল নিয়ে ক্লাবকে যতটা সাফল্য এনে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।’

বায়ার লেভারকুসেনের কাছে এসে শিরোপা হারাচ্ছে বায়ার্ন। ২০১১-১২ মৌসুমের পর এই প্রথম লিগ শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখকে। গত বছর মার্চে হুলিয়ান নাগেলসম্যানের স্থলাভিষিক্ত হন টমাস টুখেল। এমন সময় তিনি দায়িত্ব নেন যখন বায়ার্ন লিগ টেবিলে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলো এবং তখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে ছিলো।

দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লাবকে বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতান টুখেল। যদিও তা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ব্যর্থতায়। মৌসুমের শেষ ম্যাচে বরুশিয়া মেইঞ্জকে হারাতে ব্যর্থ হওয়ায় বায়ার্ন চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।

এরপর মৌসুমের শুরুতে ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইনকে ক্লাবের রেকর্ড ১২০ মিলিয়ন ইউরোয় কিনে নেন টুখেল। ন্যাপোলি থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরোয় নিয়ে আসেন কিম মিন জায়েকে। যদিও তিনি ছেড়ে দেন লুকাস হার্নান্দেজ, রায়ান গ্রাভেনবার্খ, বেনইয়ামিন পাভার্দ এবং সাদিও মানেকে।