জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসন প্রতি লড়বেন ১০৮ জন

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসন প্রতি লড়বেন ১০৮ জন

সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ‘এ’ ইউনিট দিয়ে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষা চলবে আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত।

চলতি বছর জাবিতে ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১টি আবেদন জমা পড়েছে। সেই হিসাবে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ১০৮ জন শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল নয়টায় শুরু হয়ে মোট ৬ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল নয়টায় প্রথম শিফটে ‘সি’-১ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে দ্বিতীয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে পঞ্চম শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ও ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুই দিনে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রথম দুই শিফটে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ওই দিন শেষ দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা।

এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মানতে হবে যেসব নির্দেশনা-

ওএমআর ফরমের বৃত্ত সাধারণ কালো বলপেন দ্বারা পূরণ করতে হবে। ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ওএমআর ফরম দেওয়া হবে না। ওএমআর ফরম ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, অবাঞ্ছিত দাগ দেওয়া, স্ট্যাপলার বা পিনআপ (Pin-up) করা এবং ফরমের ওপর পানি ফেলা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, দিনের শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে।

পরীক্ষার্থী কর্তৃক ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।

সপরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাগ, বইপত্র, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে

পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ju-admission.org এবং juniv.edu/admission থেকে জানা যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।

ঢাকা শহর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ঢাকা শহর বা দূরবর্তী অন্য কোনো স্থান থেকে এসে পরীক্ষা দেবে, তাদের যানজটসহ অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হলো। উল্লেখ্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসে পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা আসা-যাওয়া করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলসহ ভর্তি পরীক্ষা-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।