রমজানে আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে পদযাত্রার ডাক হামাসের

রমজানে আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে পদযাত্রার ডাক হামাসের

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া আগামী মাসে পবিত্র রমজানের শুরুতেই জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে ফিলিস্তিনিদেরকে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন।

হামাস বুধবার এ ডাক দেয়। এতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার পথে ঝুঁকি বাড়ল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রমজানের শুরুতেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন।

বাইডেনের ওই আশার বাণী সম্প্রচার করা হয়েছিল মঙ্গলবার। তিনি বলেছিলেন, রমজানের সময় যুদ্ধবিরতি করতে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে নীতিগতভাবে একটি চুক্তি হয়েছে। ওই সময় জিম্মিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে গাজায় ত্রাণ ঢুকবে এবং ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিরাও মুক্তি পাবে।

এরকম একটি চুক্তি ৪ মার্চেই চূড়ান্ত হতে পারে বলে বাইডেন জানিয়েছিলেন। আর রমজান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ১০ মার্চ থেকে।

বাইডেনের ওই বক্তব্যের পরদিনই হামাস নেতা হানিয়া জেরুজালেমের দিকে ফিলিস্তিনিদেরকে পদযাত্রার এই আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, “রমজানের প্রথম দিন থেকেই আল-আকসা অভিমুখে যাত্রা করার জন্য জেরুজালেম এবং পশ্চিমতীরে আমাদের জনগণকে আহ্বান জানাই।”

ওদিকে, ইসরায়েল গত সোমবার জানিয়েছে, তারা জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে দেবে। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিবেচনায় কিছু বিধিনিষেধ বহাল রাখবে।

এ পরিস্থিতিতে দলে দলে ফিলিস্তিনিরা আল আকসা মসজিদে গেলে এবং গাজায় লড়াই যদি তখনও তীব্র থাকে তাহলে তা সংঘাত বাধারই পট প্রস্তুত করবে।

ইসরায়েল এবং হামাস দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে আমলে নিচ্ছে না। কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, সবচেয়ে কন্টকাকীর্ণ বিষয়গুলোর মীমাংসা এখনও হয়নি।

টেলিভিশনে এক বক্তব্যে হামাস নেতা হানিয়া বলেছেন, হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় নমনীয় রয়েছে। আবার একইসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতেও প্রস্তুত। ইসরায়েল বলছে, হামাসের সঙ্গে কোনও চুক্তিতে পৌঁছতে হলে গোষ্ঠীটিকে অদ্ভুত সব দাবি জানানো বাদ দিতে হবে।

গতসপ্তাহে প্যারিসে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ইসরায়েল ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৫ মাসের গাজা যুদ্ধে এটিই হবে প্রথম দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি।

কাতারে এ সপ্তাহে ইসরায়েল এবং হামাস দুপক্ষেরই প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছে। তারা প্রস্তাবের বিস্তারিত খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখছে।

আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সেনারা গাজার জনাকীর্ণ এলাকাগুলো থেকে সরে যাবে বলা হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার হামাসের দাবি এ চুক্তিতে পূরণ করা হয়নি।