চালু হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং, গতি ফিরবে অর্থনীতিতে

চালু হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং, গতি ফিরবে অর্থনীতিতে

ছবি: সংগৃহীত

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য একটি আইন অনুমোদন দিয়ছে মন্ত্রিসভা। ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনীতির গতি বাড়বে বলে মনে করে মন্ত্রিসভা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়ে এই ব্যাংক খুলতে হবে।

অনিবাসী বাংলাদেশি বা অনিবাসী প্রতিষ্ঠান অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। একইসঙ্গে বিদেশি আত্মীয়ের নামে বাংলাদেশিরাও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে রিজার্ভ বাড়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কিছুদিন আগেও দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অফশোর ব্যাংকের মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে অর্থ। এবার সেই অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেই বৈধতা দিতে যাচ্ছে সরকার।

কী এই অফশোর ব্যাংকিং? যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে বা বিদেশের যেকোনো ব্যক্তি অর্থ স্থানান্তর করতে পারে। বাংলাদেশেও সেই সুবিধা চালু করতে এবার অফশোর ব্যাংকিং আইন অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অফশোর ব্যাংকিং আইন করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে।

তিনি বলেন, অফশোর ব্যাংক খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। পাঁচটি কারেন্সিতে এখানে লেনদেন করা যাবে। অফশোর ব্যাংক করার জন্য অনিবাসী বাংলাদেশি বা অনিবাসী প্রতিষ্ঠান অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। বাংলাদেশিরাও এর লাইসেন্স নিতে পারবেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে অফশোর ব্যাংকিং নামে এ নতুন ব্যাংকিং কার্যক্রম সরকার শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানান মাহবুব হোসেন।  

বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৮৫ সালে ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর ৩০ বছর পর ২০১৯ সালে একটি নীতিমালা করে এর ওপর। শুরুতে বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সেবায় থাকলেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যাংক যুক্ত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং সেবায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বাড়বে রিজার্ভও।

এদিকে, ব্যাংকিং খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা সর্বাধুনিক একটা ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এর ফলে কমে আসবে অর্থ পাচার।  ১৮১৫ সালে সুইজারল্যান্ডের ভিয়েনায় সর্বপ্রথম অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়।