৩৬ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু, দুর্ভোগে হোসেনগাঁওবাসী

৩৬ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু, দুর্ভোগে হোসেনগাঁওবাসী

সংগৃহীত

ঠিকাদারের মৃত্যুতে দুর্ভোগ আরো দীর্ঘ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মানুষের। কুলিক সেতুর নির্মাণ কাজ থমকে যাওয়ায় এখনো নৌকা আর বাঁশের সাকোই পারাপারের ভরসা তাদের। 

১৯৮৭ সালের বন্যায় ভেঙে যায় ঠাকুরগাঁওয়ের লেহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কুলিক নদীর একশ' ৫০ মিটার স্লুইচগেটসহ সেতু। এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গেটের ভাঙা অংশ। 

সেই থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাঁচ ইউনিয়ন ও তিন থানার লক্ষাধিক মানুষ। যাতায়াতে নৌকা ও বাশের সাঁকো তাদের ভরসা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। শিক্ষা, চাষাবাদ, হাটবাজার আর জরুরি রোগী পরিবহনে ভোগান্তি স্থানীয়দের নিত্যসঙ্গী। 

এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের কয়েক দফা চেষ্টায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একশ' ৩৫ মিটার সেতু ও ৭০ মিটার সংযোগ সড়ক তৈরির বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ঠিকাদারের মৃত্যুতে থমকে আছে সে কাজ। 

এলজিইডি জানিয়েছে, কাজটি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে; বাতিলের প্রক্রিয়ায় আছে। বাতিল হলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

কুলিক নদীর ওপর সেতু দেখার অপেক্ষায় লেহেম্বা ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মানুষ।