রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত

রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত

সংগৃহীত

সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় এবং তখন থেকে থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নিহত ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণহত্যার বিচার হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এই স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যা্টাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া রিয়াদস্থ বাংলাদেশি কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব সভায় বক্তৃতা করেন। বক্তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল রাত ৮টা থেকে এক মিনিটের জন্য দূতাবাসে ব্লাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহিদ সদস্য ও দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।