পৃথিবীতে দোষমুক্ত মানুষ নেই। সুতরাং নিজের মধ্যে দোষ রেখে অন্যের দোষ খুঁজতে যাওয়া চরম বোকামি। অপরের দোষ খোঁজা কিছু মানুষের স্বভাব।
আল্লাহর
মানবজীবন দুটি অবস্থার সমষ্টি। একটি হলো সুখ-শান্তি এবং অন্যটি হলো কষ্ট-অস্বস্তি। সুখের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন এবং দুঃখের সময় ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া মুমিনের দায়িত্ব।
এক. এমন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মুমিন বান্দার ওপর শয়তান কখনো আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না। কোরআনে কারিমের ভাষায়, ‘তার আধিপত্য চলে না তাদের ওপর, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপন পালনকর্তার ওপর ভরসা রাখে।’ -সুরা নাহল : ৯৯
বিশ্বনবি মুহাম্মাদের (সা.) জন্ম ও নবুয়তলাভ ছিল মানবজাতির প্রতি, বিশ্বজগতের প্রতি আল্লাহর বড় নেয়ামত ও করুণা। কোরআনে আল্লাহ বলেন,
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে ছায়া দান করবেন।.......
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়াশীল ও অনুগ্রহশীল। তিনি বান্দাকে ক্ষমা ও দয়া করতে ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ নিজেকে দয়ালু ও অনুগ্রহশীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
হযরত মুসা ও তার ভাই হারুন (আ.) যখন মিশরের রাজা ফেরাউনের কাছে এক আল্লাহর দাওয়াত নিয়ে যান, ফেরাউন জিজ্ঞেস করে, ‘হে মুসা, তোমাদের রব কে?’
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু যথাযথভাবে নামাজ না পড়লে নামাজ কবুল হয় না। আবার আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্য থাকলেও নামাজ কবুল হয় না।
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারবার গুনাহ করে ফেলে, গুনাহের পথ থেকে সরে আসার জন্য তাওবা করে, আবারও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। গুনাহ হয়ে গেলে স্বভাবতই মুমিনরা অনুতাপে ভোগেন, পরবর্তী করণীয় ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান।