ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দেশের উপকূলবর্তী তিন বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ ঘোষণা দেয়।
ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান।তিনি বলেন, এই ঝড় উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক এবং দুই জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া।
ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আর এর জের ধরে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং" আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামিকাল মঙ্গলবার ভোররাত অথবা সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সুমুদ্রবন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর।রোববার (২৩ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ইস্যুতে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ঠিক কোনদিকে হবে, তা এখনও জানা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতে এটি আছড়ে পড়তে পারে।
আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী রোববারের মধ্যে তা থেকে নিম্নচাপ হতে পারে এবং আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ঘূর্র্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে এটা উপকূলে উঠে আসতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি থেকে ঝড় হলে এর নাম হবে সিত্রাং। এটি থাইল্যান্ডের দেয়া নাম। সিত্রাং শব্দটি থাইল্যান্ডের মানুষের পদবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
চলতি মাসে (অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টির ফলে ফের স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ বিকেলের মধ্যে শক্তি হারাতে পারে। বর্তমানে এটি ঘূর্ণিঝড় আকারে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কাছাকাছি অবস্থান করছে। আগামীকালের মধ্যে ‘অশনি’ আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।