জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে প্রায় ১০০ কোটি শিশু চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডাচ ভিত্তিক এনজিও ‘দ্য কিডসরাইটস’।
জলবায়ু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এক্ষেত্রে কার্বণ নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলো জোরালো বক্তব্য রাখলেও পরিস্থিতির গুরুত্বের সাথে তাদের কার্যক্রম সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার একটি বড় জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বিল আইনে স্বাক্ষর করেছেন। যা মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটদের আরো উদ্দীপ্ত করছে এবং নির্বাচনে রিপাবলিকাদের বিজয়ের কিছুটা স্তিমিত করেছে।
পরিবেশ প্রকৃতি ধীরে ধীরে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। বিশ্বজুড়ে নানা কারণে তা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। তবে পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের পরিবেশগত বিপর্যয়ের সূত্রে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা হতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার।
ভানুয়াতুর পার্লামেন্ট দেশটিতে জলবায়ু বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।দেশটির প্রধানমন্ত্রী জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ১শ’ ২০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ চরম উষ্ণতা ও আদ্রতা ঝুঁকি, সমুদ্র পানির উচ্চতা বৃদ্ধির মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যূতির আশঙ্কা রয়েছে পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। আইপিসিসি’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ আভাস দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য তহবিল ও প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে সহায়তার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে জোরালো ভূমিকা পালনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সফল হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, কপ২৬ সম্মেলনে ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণা গৃহীত হওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু কূটনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের ফলাফল। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি ৪৮টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের দ্বারা ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণা গৃহীত হওয়া জলবায়ু কূটনীতিতে আমাদের দেশের অগ্রণী ভূমিকার ফল।’