দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ। সকাল ৯টা থেকে সারাদেশে একযোগে এই টিকা দেওয়া হবে।
টিকা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ দফায় ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির যোদ্ধা ও কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের এই টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের করোনার টিকার চার নাম্বার ডোজ অথবা ২য় বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে বুস্টার ডোজে অগ্রাধিকার পাবেন ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসাথে আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের গণটিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে পেরেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
দেশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন পাঁচ কোটি ৭০ লাখেরও অধিক মানুষ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের সময়সীমা আরো তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা প্রদানের বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)। এটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেয়া যাবে। এরপর আর প্রথম ডোজ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের পর এবার ১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলায় শিশুদের টিকাদান শুরুর হবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।