বজ্রপাতে একদিনে দেশের ১২ জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
বজ্রপাত
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার বিকাল ৫টা সময় কোদালপুর রশিদ সরদারের কান্দি বজ্রপাতে একজন কৃষক নিহত হয়েছে।
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গরু খুঁজতে গিয়ে বজ্রপাতে আহসান হাবিব নামে একজন নিহত হয়েছেন এবং তার ছোটভাই নাহিদ (১২) আহত হয়েছেন।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে মৃত্যুর শিকার বাংলাদেশে। বিশ্বে বজ্রপাতে যত মানুষ মারা যায়, তার এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। দেশের হাওড়, বাঁওড় ও বিলপ্রবণ জেলায় বজ্রপাতের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় যোগ দিতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৫০ জন নেতাকর্মী।
বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ১৬৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু বজ্রপাত প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। আর প্রকল্পের নামে অর্থের অপচয় হলেও বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।
সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের কবলে পড়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজশাহী বিভাগেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। শনিবার পৃথক সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে দুইটি গরুসহ এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের চর-বড়বাড়িয়া এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের শাহীনের স্ত্রী সিমা খাতুন।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলার পল্লীতে বজ্রপাতে লোকমান আলী (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার বিকালে উপজেলার বুরইল ইউনিয়নের সিংজানি ময়নাখা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লোকমান ঐ গ্রামের মৃত