সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হচ্ছে যমুনা অভ্যন্তরে চরাঞ্চল। ইতোমধ্যে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে বসতবাড়ি।বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়।
যমুনা
ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে বেড়েছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বসতভিটা ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বসতভিটা ছেড়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে বন্যাকবলিত মানুষ।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। ইতোমধ্যেই নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বসতভিটা ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বাড়ছে বন্যা আতঙ্ক।
যমুনা নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ভারতের রাজধানী দিল্লির হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যমুনার পানি বৃদ্ধির পরিমাণ। এরইমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এই নদীর পানি।
বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দি মথুরা পাড়া পয়েন্টে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ৬ জুলাই পর্যন্ত সর্বশেষ যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেদিন পানির উচ্চতা ছিল বিকাল ৩ টায় ১৫.০৫ মিটার।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ। ‘প্লাজা/শোরুম ম্যানেজার’ পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
ভাঙনের সময় শত শত মানুষ তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হতে দেখেও রক্ষা করতে পারেনি। এতে পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলের মানুষের প্রায় দুই শতাধিক ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে ইসলামপুর, মেলান্দহ, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও মাদারগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আমরা নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। এর মধ্যেও জরুরি প্রয়োজনে মার্কেটে যেতে হয়। যদি গিয়ে দেখেন মার্কেটটি বন্ধ, তাহলে কেমন লাগবে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।