তৈরিপোশাক রপ্তানির পরিমাণে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। তবে রপ্তানি হওয়া পোশাকের পরিমাণে এগিয়ে গেলেও অর্থের হিসাবে এখনো চীনের পেছনে রয়েছে দেশ। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য দিয়ে তৈরিপোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে এ তথ্য।
রপ্তানি
বিশ্বের অন্যতম পোশাক আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গত ৫ বছরে (২০১৭-২০২২) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, অপরদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে তাদের বার্ষিক আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
চলতি বছর বিশ্বের ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এতে ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি। গত বছর ২৮টি দেশে মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের জারিকৃত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই জুলাই মাসে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানি করেছে রাশিয়া। বুধবার (২ আগস্ট)এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট রাশিয়ান গ্রেইন ইউনিয়ন(আরজেইউ)।
গত ২০শে জুলাই দেশের ভেতরে চালের উর্ধ্বমূখী দাম সামাল দিতে ভারত সরকার বাসমতি ছাড়া আর সব ধরনের সাদা চালের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে শস্য রপ্তানি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পাচ্ছে। কোম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় করেছিল।
আবারও যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইবে বাংলাদেশ। বিশেষত বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে দেশটি যাতে শুল্কমুক্ত বা কম শুল্ক সুবিধা দেয়, তার জন্য বিশেষ জোর তৎপরতা চালানো হবে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) সপ্তম কাউন্সিল বৈঠকে বাংলাদেশ এমন অবস্থান নেবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মূল্যস্ফীতি রোধে বেশির ভাগ জাতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে ভারত। এ খবরের পর দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার, আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।