পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ঈমানের বহুমুখী কল্যাণ ও সুফলের বিবরণ এসেছে। নিম্নে এমন কিছু সুফল ও পুরস্কারের বর্ণনা তুলে ধরা হলো—
আল্লাহর
সৃষ্টিজগতের ওপর আল্লাহ তাআলার নিয়ামত এত বেশি যে দুনিয়ার সব মানুষ সমবেতভাবে সেগুলো গুনতে চাইলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না।
মহান আল্লাহর দ্বিন প্রচার অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। তা ইহকাল ও পরকালের শান্তি ও সফলতা লাভের অন্যতম মাধ্যম।
সৃষ্টি চলে স্রষ্টার দয়া ও রমহতে। আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো প্রাণীর পক্ষে এক মিনিট বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। আল্লাহর রহমত প্রত্যাশীদের জন্য কোরআন ও হাদিসে বিশেষ দোয়া ও আমলের শিক্ষা রয়েছে।
রমজান আল্লাহর নৈকট্য ও পুণ্য লাভের সর্বোত্তম সময়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ রহমতের দুয়ার খুলে দেন এবং প্রতি নেক কাজের প্রতিদান বহু বৃদ্ধি করেন।
পৃথিবীতে বিদ্যমান সব ধর্ম ও মতবাদের মধ্যে একমাত্র ইসলামেই ‘সৃষ্টিকর্তার’ সহজ ও যুক্তিযুক্ত সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। আমরা ইসলামের অনুসারীরাই কোনো মাধ্যম ছাড়া, কোনো ধরনের তদবির ছাড়া যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে সরাসরি আমাদের ‘সৃষ্টিকর্তার’ কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো পেশ করতে পারি।
আল্লাহ নিজে দয়ালু। সেহেতু তিনি চান বান্দা একে অপরের ওপর দয়ালু হোক। এক বান্দা অপর বান্দার অভাবের দিনে তাকে সাহায্য করুক।
মন্দ পদ্ধতিতে বিবাদ ও বিতর্কের মাধ্যমে প্রাচীন বন্ধুত্ব ও সুদৃঢ় বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। কখনো বিপক্ষ দলের ওপর চড়াও ও আগ্রাসী হওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
মহান আল্লাহ বান্দার চিরকল্যাণকামী। তিনি বান্দার জন্য সহজ চান, কঠিন চান না। সর্বদা বান্দার কল্যাণ চান।
আল্লাহর রাস্তায় জানমাল দিয়ে সংগ্রাম করা মুক্তির একটি অন্যতম সোপান। তাই এ ক্ষেত্রে ভয়ভীতি ও কৃপণতা পরিহার করতে আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।