বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্লোবোক্যানের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এখন ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগী আছে।এই সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ।
করোনা
জানুয়ারির শেষ থেকেই ভারতে করোনার প্রকোপ কমা শুরু করবে। ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। গত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় নিম্নমুখী ট্রেন্ড শুরু হয়েছে।
আতঙ্কের আরেক নাম ওমিক্রন। ব্রিটেন, স্পেন যেখানে করোনার তৃতীয় ঢেউ পেরিয়ে স্বাভাবিক জনজীবনে ফেরার চেষ্টায় সেখানে ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ একপ্রকার লাগামছাড়া। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রথমবার দৈনিক আক্রান্ত পেরিয়ে গেল ৩ লক্ষের গণ্ডি
ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন কোভিডবিধি মেনে চলা। সরকারের একাধিক নির্দেশিকা এবং তা বাস্তবায়ন সত্ত্বেও দেশে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন বাড়ল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। লাফিয়ে বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেস রীতিমতো ভয় ধরানোর মতো।
ভয়াবহ থেকে আরও ভয়াবহ হচ্ছে দেশের কোভিড গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রীতিমতো উল্কার গতিতে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে অ্যাকটিভ কেস এবং পজিটিভিটির রেট। যেনতেন প্রকারেণ সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এবারেও ভেঙে পড়তে পারে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। উপসর্গ থাকায় গতকালই তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল।
ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একদিকে যেমন কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তেমনই এবার দুঃস্থ করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠানোর ব্যবস্থাও করছে রাজ্য সরকার। এবার কোভিড রোগীদের জন্য রান্না করা খাবার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করল সরকার। রবিবার বাংলার গর্ব মমতা টুইটারে হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে।
ভারতের একাধিক শহরে কড়া বিধিনিষেধ, নাইট কারফিউ। তামিলনাড়ুতে সাপ্তাহিক লকডাউন, ভারতজুড়ে দ্রুতহারে টিকাকরণ। কোনও কিছুতেই বাধ মানছে না করোনা ভাইরাস। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে করোনাভাইরাসের আরও ২৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৮০ ডোজ ফাইজারের টিকা দেশে পৌঁছেছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) সাড়ে ৮টার দিকে টিকার চালান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
ভারতের করোনার প্রথম ঢেউ ও কড়া লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির ২৪ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছিল।