এমন কিছু সৌভাগ্যবান মানুষ আছেন, যাঁদের জন্য সম্মানিত ফেরেশতারা দোয়া করে থাকেন।
ফেরেশতা
নামাজে রুকু থেকে উঠার সময় ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলার পর একটি দোয়া আছে, যেটি নামাজে এক সাহাবি পড়েছিলেন। ফেরেশতারা তখন নেকি লেখার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। দোয়াটি হলো—حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ (হামদান কাসিরান তায়্যিবান মুবারাকান ফীহি) অর্থ: ‘তোমারই জন্য অধিক, বরকতময় ও উত্তম প্রশংসা।’
এমন কিছু সৌভাগ্যবান মানুষ আছেন, যাঁদের জন্য সম্মানিত ফেরেশতারা দোয়া করে থাকেন।
১. ওযূ অবস্থায় ঘুমানো ব্যক্তি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় (ওজূ অবস্থায়) ঘুমায় তার সাথে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে। অতঃপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথেই আল্লাহতালার সমীপে ফেরেশতাটি প্রার্থনায় বলে থাকে, হে আল্লাহ! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল।"
(আল ইহসান ফি তাকরির সহীহ ইবনে হিব্বান ৩/৩২৮-৩২৯)
আল্লাহর বিশাল এ সৃষ্টি জগতের বিশেষ এক সৃষ্টির নাম ফেরেশতা। নূরের তৈরি এ ফেরেশতাদের পরিসংখ্যান শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। বিরামহীন ইবাদতের পাশাপাশি আসমান-জমিনের নানা কর্মযজ্ঞে আল্লাহ তাঁদের নিয়োজিত রেখেছেন।
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম-সন্তানের মাঝে শয়তানের স্পর্শ আছে এবং ফেরেশতারও স্পর্শ আছে। শয়তানের স্পর্শ হল, মন্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সত্যকে মিথ্যাজ্ঞান করা। আর ফেরেশতার স্পর্শ হল, ভালোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সত্যকে সত্যজ্ঞান করা