উত্তর আমেরিকার মুসলিমদের ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৭-২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে এ সম্মেলনের আয়োজন করে উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম মুসলিম সংস্থা দি ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা (আইসিএনএ) এবং দি মুসলিম আমেরিকান সোসাইটি (এমএএস)। ‘পরিবার, বিশ্বাস, ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে এবারের সম্মেলনে পরিবার, সমাজ, অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক শতাধিক সেশন ছিল। এতে মুসলিম তরুণ, নারী ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ইভেন্ট ছিল।
ইসলাম
ব্যক্তির উপার্জিত অর্থ নিজে একা ভোগ না করে তা পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন তথা সাধ্যমতো অন্যের জন্য ব্যয় করার তাগিদ দেয় ইসলাম। তবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নীতির প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও স্ত্রী-সন্তানের হক আগে প্রতিষ্ঠিত হবে। স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বামীর।
হজের আনুষ্ঠানিকতায় একটি বড় অংশজুড়ে আছে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার স্মৃতিময় আমল।
জুমার দিনের একটি বিশেষ ফজিলত হলো জান্নাতবাসীদের জন্য এটি মহা আনন্দের দিন। জান্নাতে প্রতি জুমাবারে বিপুল প্রাপ্তির সমাহার ঘটবে। আল্লাহ তাআলার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নবী-রাসুল, নেককার বান্দাদের মিলন-উৎসব হবে। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ সবচেয়ে বড় নেয়ামত।
ফয়সাল আহমাদ। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী আলেম। দেশটির রাজধানী দোহার একটি মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। কিছুদিন আগে ঘুরে গেলেন দেশ থেকে। ফেরার কিছু দিন পরই নিজের কর্মস্থলে নিয়ে গেছেন স্ত্রী, ৬ মাস বয়সী সন্তান ও বাবা-মাকে। সেখানে পৌঁছে তাদের নিয়ে রওনা হয়েছেন পবিত্র দুই ভূমি মক্কা-মদিনার হারামাইনের উদ্দেশে, ওমরাহ পালনের জন্য। আর এই সফরটি হচ্ছে ফয়সাল আহমাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে। নিজেই ড্রাইভিং করে স্বপ্ন সফরে বের হয়েছেন তার সবচেয়ে কাছের মানুষদের নিয়ে। তার মসজিদ থেকে মক্কার দূরত্ব ১৪৫১ কিলোমিটার। সেখান থেকে ফের রওনা করবেন মদিনায়, মসজিদে নববীতে, রাসূল সা:-এর রওজায় দাঁড়িয়ে তাঁর প্রতি সালাম পেশ করতে। আবেগাপ্লুত এই সফর ফয়সাল আহমাদের মনে কেমন অনুভূত হচ্ছে এবং কী ঘটছে পথেঘাটে। সেটাই সংক্ষেপে তুলে ধরছেন তিনি।
স্ত্রীর হক আদায় ও একইসঙ্গে মা-বাবার সন্তুষ্টির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হয় একজন মুমিন পুরুষকে। কেননা মা-বাবাকে অসন্তুষ্ট রাখলে জাহান্নামে ঠিকানা করে নেওয়া হয়, অন্যদিকে মা-বাবার হক আদায় করতে গিয়ে স্ত্রীর ওপর অবিচার হলে কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়।
আরবি হজের অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। ইসলামী শরিয়ত মতে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে কাবাঘর জিয়ারত করাই হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ ফরজ।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু যথাযথভাবে নামাজ না পড়লে নামাজ কবুল হয় না। আবার আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্য থাকলেও নামাজ কবুল হয় না।
মানুষের অন্যতম একটি খারাপ দিক হলো হিংসা। ইসলামে হিংসা বা বিদ্বেষ পোষণকারীকে খুবই নিকৃষ্ট চোখে দেখা হয়েছে। সাধারণভাবে কারও ভালো কিছু দেখে অসহ্যবোধ করা বা তার অকল্যাণ কামনা করা কিংবা ওই ব্যক্তির ভালো বিষয়টির ধ্বংস চাওয়াকে হিংসা-দ্বেষ-ঈর্ষা বলে।
সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে গত ১০ মে মক্কার মসজিদ আল হারাম থেকে হারিয়ে যান ৫৭ বছর বয়সী জাহানারা বেগম। মেয়ের সাথে নামাজ পড়তে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে দলছুট হয়ে যান ফেনীর চাডিপুর এলাকার ওই নারী।
হজ ও ওমরার বিধানাবলির মধ্যে মাথার চুল মুণ্ডন বা কর্তন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এটি ওয়াজিব। কারণ মাথার চুল মুণ্ডন বা কর্তন ছাড়া ইহরামের নিষেধাজ্ঞাসমূহ শেষ হয় না। ওমরায় মাথা মুণ্ডন করতে হয় সায়ি করার পর মারওয়ায়, আর হজে কোরবানির পর মিনায়।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র রওজা শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে রাসুল (সা.)-কে সবাই সালাম নিবেদন করেন। এ জন্য মসজিদের পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করে পূর্ব দিক দিয়ে বের হতে হয়। মদিনার ইতিহাস গবেষক ড. ফুয়াদ জাইফুল্লাহ মাগামাসি বলেন, রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের ঘর বা কামরাগুলো রওজা শরিফের পশ্চিমে অবস্থিত।
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারবার গুনাহ করে ফেলে, গুনাহের পথ থেকে সরে আসার জন্য তাওবা করে, আবারও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। গুনাহ হয়ে গেলে স্বভাবতই মুমিনরা অনুতাপে ভোগেন, পরবর্তী করণীয় ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান।
চন্দ্রমাসের ১১তম মাস জিলকদ। আরবি ভাষায় জিলকদ শব্দের অর্থ হলো বসে থাকা। জাহেলি যুগ থেকে মানুষ এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না। তাই এটিকে বিশ্রামের মাস বলা হয়।
টানা চারটি ইবাদতের মাস (রজব, শাবান, রমজান ও শাওয়াল) -এর পরে আসে হিজরি ক্যালেন্ডারের এগারোতম মাস জিলকদ। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) একটি এই মাস।
সৌদি আরবের মক্কা মুকারমায় অবস্থিত মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র ইবাদতস্থল মসজিদুল হারাম। কাবা শরিফ বেষ্টিত এ মসজিদে জুমার নামাজের খুতবা বাংলাসহ অন্তত ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।