সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ দিন শুক্রবার। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। ফজিলতের কারণে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে।
ইসলাম
আল্লাহ সবকিছুর নিয়ন্তা। আল্লাহর হুকুম ছাড়া কিছুই ঘটে না। আল্লাহ মানুষকে যেমন সুদিন দেন তেমন দুর্দিনও আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে। সুদিনে যেমন ক্ষমতার অপব্যবহার না করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে, তেমন দুর্দিনে ধৈর্য ধরতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার বান্দার পরীক্ষা নেন। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা (আল্লাহর পথে) ফিরে আসে। (সুরা রুম, আয়াত-৪১)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহর গুণ ও কর্ম, নিয়ামত ও নিদর্শন বিষয়ক বিবরণ বারবার এসেছে। এসব বিবরণ অন্তরে প্রেম ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে। কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আল্লাহর গুণবাচক বিবরণগুলো না থাকলে এই দ্বিন ও ধর্ম কেবল জড় পদার্থের মতো হয়ে পড়ত।
রিজিক মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত। গুনাহের কারণে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিক কমিয়ে দেন। রিজিকে বরকত আসার জন্য মুমিনের তাকওয়া অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে রিজিকে সংকীর্ণতা নেমে আসবে।
হজ নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ফরজ। আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন, 'মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন' (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)।
হজ ইসলামি শরিয়তের অন্যতম স্তম্ভ। আর্থিক ও দৈহিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা পাওয়া প্রতিটি মুমিনের স্বপ্ন। নিজের সব কিছু বিলিয়ে দেয় মহান রবের সান্নিধ্য লাভের আশায়। কিন্তু আপনি যদি জানেন, যিনি অপনাকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি সব ক্ষমতার অধিকারী, পৃথিবীর রাজত্ব একমাত্র যার হাতে, সেই মহান সত্তা আপনাকে অপছন্দ করেন,
গত কয়েক দশকে প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উৎকর্ষতা পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনা ও জীবনধারা। পরিবর্তন এনেছে মানুষের খাদ্যাভ্যাসেও। গত কয়েক বছরে এমন এমন কিছু খাবারের উদ্ভাবন হয়েছে, যা মানুষের জন্য নতুন।
আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা পাওয়া প্রতিটি মুমিনের স্বপ্ন। নিজের সব কিছু বিলিয়ে দেয় মহান রবের সান্নিধ্য লাভের আশায়। কিন্তু আপনি যদি জানেন, যিনি অপনাকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি সব , পৃথিবীর রাজত্ব একমাত্র যার হাতে, সেই মহান সত্তা আপনাকেক্ষমতার অধিকারী অপছন্দ করেন, আপনাকে ঘৃণা করেন; তাহলে আপনার কেমন লাগবে!
নবীজির ওপর দরুদ ও সালাম পাঠ অন্যতম নেক আমল। হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনেও দরুদ ও সালাম দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পাঠান, হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পাঠাতে থাকো এবং উত্তম অভিবাদন (সালাম) পেশ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)
মৃত্যু অনিবার্য। অনিবার্য এই মৃত্যুর ডাকে সবাই সাড়া দেবে। পাড়ি জমাবে দুনিয়ার ওপারে। সাড়া না দিয়ে কেউ পার পাবে না।
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময় ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা কখনো বেশি, কখনো কম থাকে। ভূমিকম্পের যে দৃশ্য আমাদের চোখে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে দৃষ্ট হয় আসলে তা মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শেষ বিচার দিবসের পূর্বাভাস। সে দিনের
ভূমিকম্প মহান আল্লাহর অসীম শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ। যেদিন মহাবিশ্বের আয়ু ফুরিয়ে যাবে, সেদিন ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে পুরো সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ভূমিকম্পগুলো এরই ছোট নমুনামাত্র।
মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল সামাজিক জীব। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে। ইহকালীন জীবনে মানুষকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিতে হয় বিভিন্ন কর্ম ও পেশা। বিনিময় করতে হয় শ্রম।
উম্মুল মু’মিনিন হজরত হাফসা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, চারটি আমল রাসূলুল্লাহ সা: নিয়মিত করতেন, কখনো ত্যাগ করতেন না। আমলগুলো হলো- ১. আশুরার রোজা; ২. রমজানের শেষদশকের ইতিকাফ; ৩. প্রতি মাসের তিন দিন তথা আইয়ামে বিজের রোজা ও ৪. ফজরের ফরজের আগের দু’রাকাত সালাত। (নাসায়ি, মিশকাত হাদিস নং-২০৭০)