টোঙ্গায় প্রথম ত্রাণবাহী বিমানের অবতরণ

টোঙ্গায় প্রথম ত্রাণবাহী বিমানের অবতরণ

টোঙ্গায় প্রথম ত্রাণবাহী বিমানের অবতরণ

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে প্রথম বিদেশী এক বিমান অবতরণ করেছে। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড রাজধানী অকল্যান্ড থেকে টোঙ্গার রাজধানী নুকুয়ালোফাতে বিমানটি অবতরণ করে।

নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দেশটির বিমান বাহিনীর হারকিউলিস সি-১৩০ প্রজাতির পরিবহন বিমানটি নুকুয়ালোফাতে অবতরণ করে।

নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানটিতে পানির পাত্র, সাময়িক আশ্রয়ের সরঞ্জাম, জেনারেটর, স্বাস্থ্য ও পারিবারিক সরঞ্জাম ও যোগাযোগের যন্ত্রপাতিসহ মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সরবরাহ রয়েছে।’এর কয়েক ঘণ্টা পর অস্ট্রেলিয়া থেকেও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে অপর একটি বিমান টোঙ্গায় আসে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন এক টুইট বার্তায় জানান, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে বিমানটি টোঙ্গায় অবতরণ করেছে।

এর আগে সুনামিতে বিপর্যস্ত টোঙ্গার রাজধানী নুকুয়ালোফার বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিষ্কার করে তা চলাচলের উপযোগী করা হয়। কয়েক শ’ স্বেচ্ছাসেবকের একটানা কয়েকদিনের পরিশ্রমের পর রানওয়েতে জমা হওয়া ছাই পরিষ্কার করে তা চলাচলের উপযোগী করা হয়।

এদিকে টোঙ্গায় ত্রাণ সহায়তায় যাওয়া বিমানের ব্যক্তিরা যাতে টোঙ্গার কারোর সংস্পর্শে না যান, তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল জিম গ্লিমুর।তিনি জানান, দেশটিতে যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিতের জন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিশ্বের স্বল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে টোঙ্গা অন্যতম, যেখানে এখনো করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ায়নি। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চলে আসছিলো।

আগ্নেয়গিড়ির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির জেরে টোঙ্গাতে ফোন যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বুধবার টেলি যোগাযোগ পুনরায় সংযোগ করা হলেও ইন্টারনেটের পুনরায় সংযোগে আরো চার সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সাগরতলের হুঙগা টঙগা-হুঙগা হাপাই আগ্নেয়গিড়ি থেকে অগ্নুৎপাত ঘটে। অগ্নুৎপাতের জেরে ওই অঞ্চলে প্রচণ্ড সুনামির সৃষ্টি হয় এবং টোঙ্গাতে তা আঘাত হানে। সুনামির আঘাতে দেশটি প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তিনজনের প্রাণহানী ঘটে।

সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি