ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকলেও নেত্রকোনায় কম ছিলো। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে নেত্রকোনা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
রোগী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার ৯ হাসপাতালে বর্তমানে ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭২ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, তাড়াইল
রংপুর বিভাগে গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৫’শ’র বেশি রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ৬২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন।
ফেনীতে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। শনাক্ত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ বিভাগ। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে।
কিশোরগঞ্জ জেলার দু'টি হাসপাতালে বর্তমানে ৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৭ জন ও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২২ জন।
খুলনায় হাসপাতালে ৯১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ৭৫ জন ও খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ১৬ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপছে দেশে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। ইতোমধ্যে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। কিন্তু গত পাঁচ দিনে রাজধানীর চেয়ে বাইরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এতে চিকিৎসকদের যেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে, তেমনি রোগীরাও পড়ছেন নানা ভোগান্তি আর বিড়ম্বনায়।
ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জনবল এবং শয্যা সংকটের কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।